• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সেন্টমার্টিনে দেখা মিলছে শৈবালের


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২২, ০৯:১৭ এএম
সেন্টমার্টিনে দেখা মিলছে শৈবালের

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এ দ্বীপে প্রায় আট বছর পর দেখা মিলেছে সামুদ্রিক শৈবালের। মূল্যবান এ সামুদ্রিক সম্পদে সৃষ্টি হবে নতুন আয়ের পথ।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, দুদিন ধরে হঠাৎ সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে এসব শৈবাল পাড়ে আসছে। শৈবাল থেকে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য, ঔষধি পণ্য, প্রসাধনী ও পরিবেশ দূষণরোধক পণ্য উৎপাদন সম্ভব।

জানা গেছে, সমুদ্রের অগভীর অঞ্চলে শিকড়, ডালপালা ও পাতাবিহীন উদ্ভিদ জন্মায় যা সামুদ্রিক শৈবাল নামে পরিচিত। সাধারণত পাথর, বালি, পরিত্যক্ত জাল, খোলস বা অন্যান্য শক্ত অবকাঠামোর ওপর জন্মায়। লাল, বাদামি ও সবুজ রঙের শৈবাল রয়েছে। বাদামি ও সবুজ শৈবাল সাধারণত খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় আর লাল শৈবাল হাইড্রোকলয়েড উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

স্থানীয় জেলে কামাল উদ্দিন জানান, “শৈবাল স্থানীয়ভাবে ‘হেজালা’ নামে পরিচিত। সেন্টমার্টিনে হঠাৎ এত শৈবাল ভেসে আসতে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আট বছর আগে এমন শৈবাল পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখেছিলাম। হঠাৎ শৈবাল ভেসে আসা একটি সুখবরের ইঙ্গিত।”

কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ড. শফিকুল রহমান বলেন, “এশিয়ার দেশগুলো শৈবাল চাষ করে এলেও সামুদ্রিক শৈবালের বিষয়ে আগে আমাদের অভিজ্ঞতা বা গবেষণা ছিল না। বাংলাদেশ মৎস্য বিভাগ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ২০১০ সাল থেকে শৈবাল নিয়ে কাজ করছে। ২০১৬ সাল থেকে ১০ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবালের ওপর গবেষণা শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।”

বর্তমানে শৈবালের উৎপাদন, কৌশল, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্যবহারের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সবজির পাশাপাশি কসমেটিকসহ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শৈবাল। শৈবালে প্রচুর আয়োডিন রয়েছে, যা লবণের বিকল্প হতে পারে। আর এতে দুধের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা শরীরে সহজপাচ্য। এগুলো পরিত্যক্ত অবস্থাতে না রেখে সংরক্ষণ করলে সেন্ট মার্টিনের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

Link copied!